উপজেলার প্রাচীন কালে কবি সাহিত্যিকদের রচনাবলীর দ্বারা যেমন আমরা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে বার বার ফিরে পাই। তেমনি আধুনিক কালে কবি-সাহিত্যিকদের রচনাবলী দেশের তথা সাহিত্যের বিশ্ব-ইতিহাস অনুসন্ধানে আমাদেরকে অনুপ্রাণীত করে। অতিত ও বর্তমানে এ মহামিলনের মধ্যে সেতু রচনা করতে আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের সকল ইতিহাস একদিন বিস্মৃতির অন্ধকারে নিমির্জ্জিত হবে। ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন এ কথা শুধু মুখে বলেই হবে না, সঠিক ইতিহাস রচনার মাধ্যমে তাকে বাচিয়ে রাখতে হবে। বিকৃত ইতিহাসের মধ্যে নয়।
১১৩৪ খৃস্টাব্দ থেকে ১১৮৭ খৃস্টাব্দের মধ্যে উপজেলায় দু’জন কবির সাক্ষাৎ পাই। গৌড়ের রাজা মদন পালদেবের সময়ে কবি সন্ধ্যাকার নন্দীর জন্মস্থান উল্লেখ করেছেন মহাস্থান সন্নিকটবর্তী পৌন্ড্রবর্ধনপুর। তাঁর পিতা কায়স্তদের অগ্রণী ছিলেন। পিতার নাম প্রজাপতি নন্দী বলে উল্লেখ করেছেন ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদার। পিতামহের নাম পিনাক নন্দী। সন্ধ্যাকর নন্দীর কাব্যগ্রন্থের নাম ‘রামচরিয়তম’। রামচন্দ্রের সীতা উদ্ধার কাহিনী গ্রন্থটির মূল বিষয়। ঐতিহাসিকগণ তাঁর কাব্যের ভাষাকে মার্জিত ও সুরুচিকর বলে অভিহিত করেছেন। অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্যর জন্মস্থান শিবগঞ্জ থানার বিহার গ্রামে। তাঁর কাব্যগ্রন্থের নাম ‘হারলতা’। রমেশ চন্দ্র মজুমদার ‘পিতৃদয়িতা’নামে আরেকখানি গ্রন্থের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি রাজা বল্লাল সেনের সাহিত্যগুরু ছিলেন বলে ঐতিহাসিকগণ মত প্রকাশ করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS